আকাশের যে খানিকটাআমার জানলাকে ফালি করে, আজ তা বেজায় নীল,মেঘের টুকরো যেন মুঠো বন্দি সাদা তুলো,একটু চাপ দিলেই, ঝরে পড়বে হাসি,হিমশুরুর দিনে ঝলমলে রবিরব্যস্তবাগীশ আকাশ পথে পায়চারি,নভ নদীর চর শুস্ক,চাঁদ তারা বিছিয়েছে তাদেরঘুমন্ত চাদর,মুখ ঢেকেছে শিশির ধোয়া ঘাসে,দূরের পাল তোলা জাহাজ তারমুক্ত প্রাণের আভাস ছড়ায়শূণ্যে— “তোমার খোলা হাওয়ালাগিয়ে পালে….”টুকরো কাছি ডুব দেয় মন মহুয়ায়, সুবাসে মাতে ভুবন,তবু,এতো আনন্দের মাঝে এক স্মিত বিশাদ,পাখিদের ছটফটানি, মেঘেদেরনীরব রোদন, সকলের অলক্ষেশরতের শান্ত আকাশ কিছুটা চন্চল, আনমনা,গগন পথ সুসজ্জিত, দোল খায় হিমালয়,আলো শান দেয় তার বেণুতে, রাত শেষেবেজে উঠবে বিদায়ী ভৈরবের একতারাটা,অল্পদিনের হলেও সে শূণ্যতা গভীর….মাটির পৃথিবী টোকা দেয় তার ঢাকে, মানুষের কলোরবে আড়মোড়া ভাঙ্গে অপরাজিতা, ব্যস্ততা, রোজ-দৌড়, দিনের কাজের ফাঁকে টিপটা সোজা করে নেওয়া, আয়নাটা আজ সুন্দরী…. বেতারের ক্যাঁচ ক্যাঁচ, অনভ্যস্ত হাতের চটুল কারিগরি, কাল সকালের অন্জলির প্রস্তুতি…. ঘড়ি যখন ট্রাফিক পুলিশ, রেডিও খাবে কানমোলা— আকাশ জাগিয়ে তুলবে যুগের বীরেন, ধ্বনিত হবে এক উদাত্ত্ব কন্ঠে দেবী আহবান, “আশ্বিনের শারদ প্রাতে, বেজে উঠেছে আলোক মন্জরি….”
মা আসছেন…….
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Comments
No comments found.